আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং কখন খাওয়া উচিত
আজওয়া খেজুর একটি পাম জাতীয় উদ্ভিদ এর খেজুর। যা সৌদি আরবে প্রচুর চাষ হয় এবং ব্যাপকভাবে বিখ্যাত। এই আজওয়া খেজুর কিন্তু অনেক সুস্বাদু অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। এটি খেলে আমাদের অনেক উপকার হয়।
সৌদি আরবের বিশেষ করে মদিনায় এই আজওয়া খেজুর অত্যন্ত বিখ্যাত। এ খেজুর মহানবী (সাঃ) এর প্রিয় ফল ছিল এবং তিনি এটি খাওয়ার উপকারিতা এবং নিয়ম বলে দিয়েছেন।
ভূমিকা:
আজওয়া খেজুর সৌদি আরবে মদিনা শহরে বিখ্যাত। এটি পাম জাতের ফল। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু। এছাড়াও এটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী।
এই আজওয়া খেজুর পৃথিবীর মধ্যে সৌদি আরবেই বেশি চাষ হয়ে থাকে। আমাদের উচিত আজওয়া খেজুর খাওয়া তাহলে আমরা তার থেকে উপকারিত হবো।
আজওয়া খেজুর চেনার উপায়:
আজওয়া খেজুর সাধারণত কুচকুচে কালো হয়ে থাকে। এছাড়াও এতে কিছুটা সাদা সাদা দাগ রয়েছে। আবার এটি কালচে ভাব রয়েছে দেখলেই চেনা যাবে। এছাড়াও আকারে বড় হয় আবার মাঝে মাঝে ছোট হয়ে থাকে।
এটি অনেক কালো হওয়ার ফলে সহজেই চেনা যায়। যদি আমরা কোনো খেজুরে লালচে ভাব এবং ভেজা ভেজা ভাব দেখি তাহলে বুঝবো যে এটি আসল আজওয়া খেজুর নয়।
আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা:
আজওয়া খেজুর যেহেতু একটি বরকতময় খেজুর সে তৈরি খেলে আমাদের অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। নিম্নে আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে দেওয়া হলো-
- এই আজওয়া খেজুর ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সারের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
- এতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারই ফাইবার রয়েছে যা আমাদের রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে দেয়।
- এছাড়াও হাদিসে রয়েছে আজওয়া খেজুর বিষপানের মহা ঔষধ। অর্থাৎ কেউ যদি বিষ পান করে থাকে তাকে যদি আজওয়া খেজুর খাওয়ানো হয় তাহলে সেই বিষের প্রতিরোধ হবে।
- আবার হাদিসে রয়েছে যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে তার উপর সেই দিন কোন জাদু টোনা এর প্রভাব পড়বে না
- যে ব্যক্তি আজও খেজুর প্রতিদিন খায় তারা হাড়ের গঠন মজবুত হয়।
- আজওয়া খেজুর খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ দূর হয়।
- এছাড়াও এটি মস্তিষ্ক শান্ত রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি করে ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।
- এই খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ করে তুলে।
আজওয়া খেজুর কখন খাওয়া উচিত:
আজওয়া খেজুর অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ার ফলে এটি আমাদের সবসময় খাওয়া উচিত নয়। আমরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেতে পারি ফলে আমাদের ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও সকালে খালি পেটেও খেতে পারি ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়।
যদি আজওয়া খেজুর কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেলে ক্ষুধার নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে আমাদের সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে এই আজওয়া খেজুর খেলে আমাদের শরীরে ইনফ্লেশন রোধ করতে সক্ষম হবে। ফলে আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। যদি আমাদের বদহজমের সম্ভাবনা থাকে তাহলে এই খেজুর খাওয়া উচিত নয়।
এছাড়া যাদের অ্যালার্জি এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এর সমস্যা রয়েছে তাদেরকে এই খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই আজওয়া খেজুর সব সময় না খেয়ে সকালে খালি পেটে অথবা কাজের ফাঁকে ফাঁকে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া উচিত। তাহলে আমরা সম্পূর্ণ গুণ অর্থাৎ পুষ্টি পাবো। তাই বলা যায় যে, আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
লেখকের শেষ মন্তব্য:
এই আর্টিকেল পড়ে আমরা আজওয়া খেজুরের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এই খেজুর ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এছাড়াও এটি কখন খাওয়া উচিত সেসব সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি।
আশা করি আপনারা খেজুর এর গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।
আর্লিটেক বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url